Monday, September 2, 2024

গরমে ছুটে চলার সময় শরীরে বহনযোগ্য এসি!

 

গরমের সময় যেমন শরীর ঠাণ্ডা রাখবে, বিপরীতে শীতে শরীর গরম রাখবে; যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ব্লুটুথের মাধ্যমে। এখন কোনো ব্যক্তি চাইলেই পোশাকের সঙ্গে ঘাড়ে একটি ডিভাইস লাগিয়ে বাতাস গ্রহণের সুবিধা পাবেন। ডিভাইসটি ছোট্ট একটি এসি। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বাইরে ছুটে চলার সময়ও শরীরে এমন একটি এয়ারকন্ডিশনার (এসি) থাকবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধুনিক এ ডিভাইসটির সুবিধা হচ্ছে- এটি ঘাড়ে আটকানোর পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কুলিং বা হিটিং প্রক্রিয়া শুরু হবে। আপনাকে নিজ থেকে আর কিছু করার প্রয়োজন হবে না। এতে কুলিং লেভেল রয়েছে পাঁচটি। ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন মতো লেভেল সেট করতে পারবেন। আবার এর সঙ্গে রিয়ন পকেট ট্যাগও সাপোর্ট করে; যা রিমোট সেন্সর হিসেবে কাজ করে থাকে।

ডিভাইসটি ক্লাইমেট কন্ট্রোল ফিচার সমৃদ্ধ। এতে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও মোশনের সেন্সর রয়েছে। ডিভাইসটির বিশেষত্ব হচ্ছে- এটি কুলিং ও হিটিং দুটিই করতে পারে। গ্রীষ্মকাল ছাড়া শীতেও ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া কয়েকটি কন্ট্রোল বাটন রয়েছে; যা দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ডিভাইসটির জন্য রিয়ন ন্যামের একটি অ্যাপ তৈরি করেছে সনি প্রতিষ্ঠান; যা আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড, দুই ধরনের স্মার্টফোনেই সাপোর্ট করে। সনি রিয়ন পকেট ৫ প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহক ক্রয় করতে পারবেন। তবে এটি কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে পাওয়া যাচ্ছে।

ডিভাইসটি ইতোমধ্যে চারটি সংস্করণ লঞ্চ করেছে। এখন যেটি লঞ্চ করা হয়েছে, সেটি পঞ্চম সংস্করণ। ডিভাইসটির প্রথম মডেলটি লঞ্চ হয়েছিল এখন থেকে পাঁচ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে। নাম সনি রিয়ন পকেট ৫। ছোট্ট এই এসিটি এক ধরনের পরিধানযোগ্য জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, যা ফ্যানের বিকল্প। অনেকটা ইয়ারবাডের মতো দেখতে। এর কার্যকারিতা অনেক বেশি বলে দাবি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনির।

ভারতের কূটনৈতিক মাথাব্যথার কারণ শেখ হাসিনা

 

শেখ হাসিনাকে অনেকে গত এক যুগ ধরে ‘আয়রন লেডি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।  ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা অস্থায়ীভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

সাড়ে ১৫ বছর যাবত দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্ষমতায় টিকে থাকা একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন সেটি অনেক ধারণাই করতে পারেননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর কোনো ব্যক্তি এভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হননি।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে উৎখাত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান ভারতে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের জন্য এখন কূটনৈতিক মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন হাসিনা৷

১৫ বছরের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিরোধীদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ গণআন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের দাবি, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক৷

কিন্তু ৭৬ বছর বয়সি হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে হলে দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য প্রতিবেশীদের কাছে ভারতের অবস্থান ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে৷ বিশেষ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে যখন চীনের সঙ্গে দ্বৈরথ চলছে, এমন একটা সময়ে এই উদাহরণ অনেকে ভালো দৃষ্টিতে নাও নিতে পারেন৷

বিরোধ সমাধান বিষয়ক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের টমাস কিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভারত স্পষ্টতই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায় না৷ এর ফলে নয়া দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা এ অঞ্চলের অন্যান্য নেতাদের কাছে একটা বার্তা পাঠানো হবে... যে শেষ পর্যন্ত, ভারত আপনাকে রক্ষা করবে না৷ বিষয়টা ভারতের জন্য খুব ইতিবাচক হবে না৷'' 

গত বছর মালদ্বীপে এমন এক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, যিনি জেতার পরপরই নয়া দিল্লির বদলে কৌশলগতভাবে বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন৷

হাসিনার পতনের ফলে ভারত এই অঞ্চলে তার ঘনিষ্ঠতম মিত্রকে হারিয়েছে৷

শেখ হাসিনার অধীনে যারা নির্যাতিত হয়েছেন, তারা তার সরকারের সংঘটিত নির্যাতনের জন্য ভারতকেই অনেকাংশে দায়ী করেন৷ ভারতের হিন্দু-জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কূটনীতিও সেই বৈরিতা ছড়াতে ভূমিকা রেখেছে৷

৮৪ বছর বয়সি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি৷ বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রক্ষা করার জন্য ইউনূসের প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করেছেন মোদি৷

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে সপ্তদশ শতকের লাল কেল্লা থেকে দেয়া ভাষণে মোদি বাংলাদেশি হিন্দুদের বিপদে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন এবং পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপেও বিষয়টি উত্থাপন করেন৷

শেখ হাসিনার পতনের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং মন্দিরের ওপর কিছু হামলার ঘটনা ঘটে৷ এসব ঘটনার নিন্দাও জানানো হয়েছে বাংলাদেশের আন্দোলনকারী এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে৷ কিন্তু ভারতের সরকার সমর্থক বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে এসব ঘটনার অতিরঞ্জিত বিবরণ দেশটিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়েছে৷

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভারত হাসিনাকে সমর্থন করে ‘তার সব ফল এক ঝুড়িতে রেখে দিয়েছে' এবং পরিস্থিতি কীভাবে বদলাতে হবে সেটা বুঝতে পারেনি। হাসিনার আমলে গ্রেফতার হওয়া হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের একজন মির্জা ফখরুল এএফপিকে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সাথে ভালো সম্পর্ক চায়, কিন্তু সেটা নিজেদের স্বার্থের বিনিময়ে নয়৷

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের মনোভাব এই আত্মবিশ্বাস তৈরির জন্য অনুকূল নয়৷

এমন অনাস্থা এবং অবিশ্বাসের পরিস্থিতিতেই আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত হয় দুই দেশই৷ অনেক বাংলাদেশির পক্ষ থেকে ভারতকে এই বন্যার জন্য দায়ী করা হয়৷

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এখনও প্রকাশ্যে নয়া দিল্লির কাছে শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেনি৷ কিন্তু কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার কারণে নয়া দিল্লির কাছে একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে অবস্থান করা হাসিনার অন্য কোনো দেশে যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছে৷

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে একটি দ্বিপাক্ষিক প্রত্যাবাসন চুক্তি হয়েছিল৷ এর অধীনে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার সুযোগ রয়েছে৷

তবে চুক্তির একটি ধারায় অপরাধ ‘রাজনৈতিক চরিত্রের’ হলে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের সুযোগও দেয়া হয়েছে দুই দেশকে৷

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী এএফপিকে বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চাপ দেওয়ার চেয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষা বাংলাদেশের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷

তিনি বলেন, ‘যে কোনো বুদ্ধিমান সরকার বুঝতে পারবে যে হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টিকে ইস্যুতে পরিণত করা তাদের জন্য কোনো সুবিধা তৈরি করবে না৷’


পৃথিবীসেরা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে শিক্ষক হলেন বুয়েটের তৌহিদুল

 

বুয়েট প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলামছবি: লেখকের সৌজন্য

কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং অনুসারে পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেরা ১০–এর মধ্য কয়েক বছর ধরেই আছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন পৃথিবীর সব দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের। এখানে না পড়েও অসাধারণ ফলাফল ও গবেষণার জন্য সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম।

রাজশাহীর ছোট্ট মফস্‌সল শহর চারঘাটে বেড়ে ওঠা তৌহিদুলের। তাঁর বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন। আর ফুফু-ফুফা বলতেন, ‘তোমার যা করতে ভালো লাগে, তুমি সেটাই করো।’

তৌহিদুল বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫.০০ পাওয়ার পর ২০০৫ সালে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হই। বুয়েটে মোহাম্মদ কামরুল হাসান স্যার ও সেলিয়া শাহনাজ ম্যাডামের কাছে গবেষণার হাতেখড়ি। বুয়েট থেকে ৩.৮২ সিজিপিএ নিয়ে পাস করার পর সেলিয়া শাহনাজ ম্যাডামের অনুপ্রেরণায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য আবেদন করি এবং স্কলারশিপসহ ২০১৪ সালে পড়তে যাই।’


চিকিৎসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে বর্তমানে গবেষণা করছেন তৌহিদুল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কীভাবে আগে থেকে হৃদ্‌রোগ, মস্তিষ্কের রোগ ও ক্যানসার নির্ণয় করা যায়, সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। কী ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে ক্যানসার রোগীদের জীবনমান ভালো করা যায় এবং চিকিৎসায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়—এটিও তাঁর গবেষণার একটি বিষয়।

এখন পর্যন্ত ৪৪টি পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে পিএইচডিতে ২২টি প্রবন্ধ রয়েছে। পোস্টডক্টরাল সময়ে পাঁচটি ফার্স্ট অথর প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যেগুলো সম্মানজনক নেচার সাবজার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার জন্য গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ থেকে সম্মানজনক কে৯৯/আর০০ পাথওয়ে টু ইনডিপেনডেন্স অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ড, স্ট্যানফোর্ড ক্যানসার ইনস্টিটিউট এবং স্ট্যানফোর্ড এইচএআই অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন।


তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্ট্যানফোর্ডে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চাকরি পাওয়ার যাত্রাটি বেশ দীর্ঘ ও চ্যালেঞ্জিং ছিল। বাংলাদেশ থেকে আমিই প্রথম স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে টেনিউর ট্র্যাক (স্থায়ী) সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছি, যা আমার জন্য অনেক বড় এক অর্জন। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়োগপ্রক্রিয়া কঠিন এবং ধাপে ধাপে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হয়। কয়েকবার ইন্টারভিউ দিতে হয়। আমি বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলাম। আমার পিএইচডি শুরুর পর থেকেই স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার এবং আমার প্রথম পছন্দ ছিল স্ট্যানফোর্ড।’



তৌহিদুল ইসলাম
তৌহিদুল ইসলাম
ছবি: লেখকের সৌজন্য

তৌহিদুল বলেন, ‘গত ছয় মাসে অসংখ্য জুম ইন্টারভিউ, অনসাইট ইন্টারভিউ এবং স্যালারি নিয়ে আলোচনার মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে গেছি। অবশেষে আমেরিকার প্রথম পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটি থেকে অফার পাই। এ সময়টাতে অনেক চিন্তা এবং আমার পিএইচডি ও পোস্টডক মেন্টরদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সবকিছু বিবেচনা করে আমি স্ট্যানফোর্ডে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিই। আলহামদুলিল্লাহ! এখন থেকে স্ট্যানফোর্ডকে আমার নতুন বাড়ি বলতে পারব।’



স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫ সালে তৌহিদুলের অধীনে নতুন ল্যাব চালু হবে। তিনি বলেন, ‘আমার ল্যাবে বেশ কয়েকজন পিএইচডি স্টুডেন্ট ও পোস্টডক নেওয়া হবে। যাঁরা মেডিকেল ডেটা বিশ্লেষণ, রোগ নির্ণয়, মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং বা পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা আমার ল্যাবের জন্য উপযুক্ত হবেন।’

যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের উদ্দেশে তৌহিদুল বলেন, ‘স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁরা পিএইচডি ও মাস্টার্স করতে ইচ্ছুক, তাঁদের আইইএলটিএস ও জিআরই-তে ভালো স্কোর থাকতে হবে। এ ছাড়া স্নাতক পর্যায়ের সিজিপিএ বেশি থাকতে হবে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োমেডিকেল ডেটা সায়েন্স ও বায়ো–ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা যদি স্ট্যানফোর্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে চান, যেকোনো পরামর্শের জন্য আমাকে ই–মেইল করতে পারেন। আমি তাঁদের যথাযথ নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করব।’


ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

 

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার জন্য তিনি জরুরি আলোচনায় ঢাকা আসছেন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে মার্কিন একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ঢাকা সফরে আসছেন তিনি।

প্রতিনিধি দলে যুক্ত রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দফতরের আন্তর্জাতিক অর্থায়ন বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লিন্ডসে ফোর্ড।

মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু সর্বশেষ গত মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেন। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটি ডোনাল্ড লু তথা যুক্তরাষ্ট্রের কোন প্রতিনিধি দলের প্রথম বাংলাদেশ সফর হতে যাচ্ছে।