Saturday, August 31, 2024

ভ্যানে লাশের স্তূপ করছে পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল


 মাথায় পুলিশের হেলমেট। সাদাপোশাকের ওপর পুলিশের ভেস্ট পরা এক ব্যক্তি আরেকজনের সহায়তায় চ্যাংদোলা করে নিথর এক যুবকের দুই হাত ধরে ভ্যানের ওপর তুলছেন। ভ্যানের ওপর আরও কয়েকটি নিথর দেহ স্তূপ করে রাখা। দেহগুলো থেকে ঝরে পড়া রক্তে ভিজে গেছে সড়কের কিছু অংশ। বিছানার চাদরের মতো একটি চাদর দিয়ে তাঁদের ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশেই পুলিশের হেলমেট, ভেস্ট পরা আরও কয়েকজনকে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি সাভারের আশুলিয়া থানা-সংলগ্ন এলাকার বলে দাবি করেছেন অনেকে। এএফপির ফ্যাক্ট-চেকিং এডিটর কদরুদ্দীন শিশির তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে ঘটনাটি ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার নিকটবর্তী এলাকায় বলে উল্লেখ করেছেন।

সরেজমিনে ভিডিওটির আশপাশের নানা বিষয় পর্যালোচনা করে এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানটি আশুলিয়া থানা লাগোয়া ‘ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লি. অফিসার ফ্যামিলি কোয়ার্টারের’ পাশের সড়ক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঘটনাস্থল হিসেবে দাবি করা জায়গাটি থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুটের দূরত্বে ‘সাদিয়া রাজশাহী কনফেকশনারি অ্যান্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার’ নামে একটি দোকান আছে। দোকানের মালিক ফাহিমাকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখানো হলে তিনি স্থানটি নিশ্চিত করেন। ফাহিমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘হ্যা, এটাই ওই জায়গা। বালুর বস্তা পালা দিয়ে ব্যারিকেড বানিয়ে ছিল।’

ধারণা করা হচ্ছে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এই ভবন থেকে ধারণ করা হয়েছে
ধারণা করা হচ্ছে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি এই ভবন থেকে ধারণ করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, ঘটনাস্থলের পাশের ‘ইসলাম পলিমারস অ্যান্ড প্লাস্টিসাইজারস লি. অফিসার ফ্যামিলি কোয়ার্টার’-এর দেয়ালে নির্বাচনী পোস্টার টাঙানো আছে। দেয়ালের ভেতরের অংশের একটি গাছের পাতা এসে পড়েছে সড়কের দিকে। দেয়ালের একটি অংশে কিছুটা বাঁক আছে। দেয়ালের নিচের দিকে কিছু অংশ কালো।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, ভিডিওটি ঘটনাস্থলের পাশেই একটি তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে বাড়ির একাধিক ভাড়াটে ও মালিকের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা ভিডিওর ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেয়ালে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী আবুল হোসেনের ছবি-সংবলিত পোস্টারটিতে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। দেয়ালের ভেতরের অংশের গাছটি আমগাছ। সেটির পাতা সড়কের দিকে এসেছে। দেয়ালের একটি অংশে বাঁক দেখা যায়। দেয়ালের নিচের দিকে কিছু অংশে কালো রং করা হয়েছে।

ভিডিওতে হেলমেট হাত ও পুলিশের ভেস্ট পরা ব্যক্তি ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলে দাবি করছেন অনেকে। এ বিষয়ে কথা বলতে ওই কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বিচার গুলি চালালে বেশ কয়েকজন নিহত হন। আহত হন অনেকে। রাতে আশুলিয়া থানার অদূরে নবীনগর থেকে চন্দ্রাগামী মহাসড়কের এক পাশে পুলিশ লেখা পিকআপের আগুনে ভস্মীভূত অন্তত দুটি মরদেহ দেখেন তাঁরা। এ ছাড়া থানার সামনে আগুনে পোড়া একটি মরদেহ ছিল। পদচারী–সেতুতে উল্টো করে ঝোলানো ছিল ক্ষতবিক্ষত দুই পুলিশ সদস্যের লাশ। তখন স্থানীয় লোকজন আগুনে ভস্মীভূত একাধিক লাশ পিকআপে থাকতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন। ওই রাতে আশুলিয়া থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

ভাইরাল ভিডিওর সঙ্গে সাদৃশ্য প্রমাণে ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে করা ওই সড়কের ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
ভাইরাল ভিডিওর সঙ্গে সাদৃশ্য প্রমাণে ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে করা ওই সড়কের ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পরদিন পুলিশ লেখা পিকআপে আগুনে পুড়ে যাওয়া একজনকে শনাক্ত করেছিলেন বলে স্বজনেরা জানান। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহিনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫ আগস্ট থেকে ছেলে নিখোঁজ ছিল। পরদিন পুলিশের পিকআপ থেকে আগুনে পোড়া লাশ পাই। লাশের পকেটে আইডি কার্ড দেখে ছেলের লাশ চিনতে পারি। ৭ তারিখে গাইবান্ধার শ্যামপুর গ্রামে লাশ দাফন করেছি।’

আশুলিয়া এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্যমতে, আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় হামলার ঘটনায় ১৪ জন নিহত হন। এ ছাড়া আশুলিয়া থানা এলাকায় তিনজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন।

Wednesday, August 28, 2024

‘অনেক ধনী মানুষকেও ডেট করেছি, কিন্তু সুখী ছিলাম না’

অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকফেসবুক থেকে

মাস তিনেক আগে হঠাৎ বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনেন মডেল ও অভিনয়শিল্পী রুকাইয়া জাহান চমক। বিয়ের খবর প্রকাশিত হতে না হতে চমক ও তাঁর স্বামী আজমান নাসিরকে নিয়ে চর্চা হতে থাকে। এর মধ্যে কেউ কেউ বলেন, নাসিরের এটি তৃতীয় বিয়ে আর চমকের দ্বিতীয়। বিয়ে প্রসঙ্গে নাসির তাঁর অবস্থান আগে পরিষ্কার করলেও এত দিন কিছুই বলেননি চমক। গত মঙ্গলবার কথা প্রসঙ্গে চমক বললেন, ‘সবাই এত কিছু লিখছিল, এটা আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছিল না। এটা তো আমার একান্ত ব্যক্তিগত।’

তিন মাস আগেও বিয়ের খবর নিজে থেকে কাউকে জানাতে চাননি চমক। যখন খবরটি ছড়িয়ে পড়ে, তখন স্বামীকে নিয়ে কথা বলেন চমক। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষটার সম্পদ বলতে কিছুই নেই, অতীতও খুব একটা মধুর নয়! কিন্তু রাজার মতো একটা মন আছে, যেখানে সে আমাকে রানির মতো রেখেছে। আমি সুখী। এ মুহূর্তে আমার মতো সুখী কজন আছে জানি না। আবার এই সুখ কত দিন টিকবে তা-ও জানি না।’

রুকাইয়া জাহান চমক
রুকাইয়া জাহান চমক
ইনস্টাগ্রাম থেকে

চমক প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমরা একসঙ্গে আছি। আমার কিন্তু আগে কোনো বিয়ে হয়নি, তারপরও এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল শুধু শুধু। এটা ঠিক, আমার একটা সিরিয়াস প্রেম ছিল। এরপর আরও দুই–তিনটা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি।’
চমকের অভিনয়জীবন চার বছর হতে চলেছে। নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি একটি চলচ্চিত্রও বানিয়েছেন। প্রেমকে কাজের অনুপ্রেরণা হিসেবে মনে করেন চমক। তিনি বললেন, ‘আমরা শিল্পী, শিল্পীদের জীবনে দুই–তিনটা প্রেম থাকবে না, এটা হতেই পারে না। প্রেম হচ্ছে বিশাল অনুপ্রেরণা। প্রেম থেকে আমরা শিখি, প্রেমে কষ্ট পেলে সেখান থেকেও শিখি, আরও আসে অনুপ্রেরণা। আমার যদি কাউকে ভালো লাগে, তিনি যদি ক্রিমিনালও হন, তাঁর খারাপ দিকটা ঠিক করে প্রেমের সম্পর্কে থাকতে পেরে ভালো লাগে।’

তিন মাস আগেও বিয়ের খবর নিজে থেকে কাউকে জানাতে চাননি চমক
তিন মাস আগেও বিয়ের খবর নিজে থেকে কাউকে জানাতে চাননি চমক
ইনস্টাগ্রাম থেকে

বিয়ের পর অনেকে চমকের স্বামীকে ধনকুবেরও বলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে চমক বললেন, ‘আমার স্বামীর কথা বলছিল, সে ধনকুবের। বিশ্বাস করেন, আমি তার চেয়ে বেশি আয় করি। আমার স্বামী সত্যি নো বডি। আরেকটা কথা, আমার স্বামীর এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও কার কি, আমার তো সমস্যা না। আমার না হেরে যাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। এই মানুষটা বারবার হেরে যাচ্ছিল, কিছুই পায়নি জীবনে, তার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন যদি আমি হই, তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় সুখটা যদি আমি দিতে পারি, কেন নয়। আমি তাঁকে অত কিছু জিজ্ঞেস করতে যাইওনি। সে আমার প্রতি লয়্যাল, প্রচণ্ড ভালোবাসে, কেয়ার করে—এটাই আমার কাছে অনেক।’
জীবনসঙ্গী টাকাপয়সা দিয়ে বিচার করার বিষয় নয় উল্লেখ করে চমক বললেন, ‘কেউ হাজার কোটি টাকার মালিক, কিন্তু মানুষ ঠিক না হলে ক্যামনে কি! আমি অনেক ধনী মানুষকেও ডেট করেছি, কিন্তু হ্যাপি ছিলাম না। ওর সঙ্গে আমার মনে হয়েছে, হ্যাপি, পরিপূর্ণ। আবারও বলছি, আমাকে পাওয়া যদি কারও জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হয়, তখন সেই মানুষটার সঙ্গে থেকে যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। আর আমি হেরে যাওয়া মানুষের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। কারণ, যে জীবনে অনেক জিতেছে, তাঁর জীবনে তো আমাকে দরকার নাই। গুরুত্বও কম পাব। সে মানুষের সঙ্গে থাকাটা আমার ইচ্ছাও না।’

রুকাইয়া জাহান চমক

চমকের জন্ম বরিশালে; তবে বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা ঢাকায়। ঢাকায় সাংস্কৃতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শৈশব থেকেই নাচের তালিম নিয়েছেন। চমকের মা-বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়ে চিকিৎসক হবে। মা-বাবার সে ইচ্ছাও পূরণ করেছেন তিনি। তাঁর তথ্যমতে, তিনি মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেছেন। ২০১৭ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে বিনোদন অঙ্গনে পথচলা শুরু চমকের। লেখাপড়ার বিরতি শেষে ২০২০ সালে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক ও সিরিজ হলো ‘হায়দার’, ‘হাউজ নং ৯৬’, ‘মহানগর’, ‘সাদা প্রাইভেট’, ‘অসমাপ্ত’ ও ‘ভাইরাল হাজব্যান্ড’।

রুকাইয়া জাহান চমক


 

ক্রিকেটার সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী। আজ বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানের কাছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিলহানুর রহমান নাওমী ওই আবেদন করেন।

আবেদনে সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নিষিদ্ধ জুয়ার ব্যবসা ও জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, স্বর্ণ চোরাচালানে সম্পৃক্ততা, প্রতারণার মাধ্যমে কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ, ক্রিকেট খেলায় দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবকে। এরপর হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে মামলার তদন্তের স্বার্থে সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিসিবিকে আইনি নোটিশ পাঠান একজন আইনজীবী। যদিও গতকাল বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেছেন, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন সাকিব। দরকার হলে বিসিবি তাঁকে সব রকমের আইনি সহায়তাও দেবে।


সাকিবের মামলা নিয়ে আসিফ নজরুলের পাল্টা প্রশ্ন

একটি মুরগির দাম ৩ লাখ টাকা, কেন এত বেশি


 ভিয়েতনামের বাসিন্দাদের কাছে ডং তাও মুরগি খুবই জনপ্রিয়। এই মুরগি তার শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য ‘ড্রাগন চিকেন’ নামে বেশি পরিচিত। ডং তাও মুরগিকে ভিয়েতনামে মর্যাদার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। এই মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার সেখানে ভীষণ জনপ্রিয়। এই মুরগি দেখতে অন্যান্য মুরগির চেয়ে আলাদা। সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক  তাও মুরগির দাম প্রায় আড়াই হাজার ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় তা প্রায় ৩ লাখ টাকার সমান। কখনো কখনো আরও বেশি দামে বিক্রি হয় এই মুরগি। বিরল প্রজাতি আর ধীরগতির বংশবৃদ্ধির কারণেও এই মুরগির দাম এত বেশি।

ড্রাগন মুরগির সবচেয়ে দামি অংশ এর পা
ড্রাগন মুরগির সবচেয়ে দামি অংশ এর পা
ছবি: রয়টার্স

ড্রাগন মুরগির পায়ে প্রচুর মাংস থাকে বলে এরা অন্য প্রজাতির মুরগির চেয়ে আলাদা। ড্রাগন চিকেনের পায়ের মাংস দিয়ে তৈরি করা হয় ভিয়েতনামি নানা ঐতিহ্যবাহী পদ। এই মাংসকে সুস্বাদু করতে শেফরা অত্যন্ত ধীরে ধীরে রান্না করেন। চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে এই মুরগি দিয়ে ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানা পদ। এই মুরগির পায়ের মাংস আঁশযুক্ত লাল বর্ণের। বেশ সংবেদনশীল। চান্দ্র নববর্ষের সময় উপহার হিসেবেও চাহিদার তুঙ্গে থাকে বিরল ও বিপন্ন জাতের এই মুরগি। সাম্প্রতিক সময়ে এই মুরগির বিভিন্ন রেসিপি বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই মুরগির তৈরি নানা পদ খেতে ভিয়েতনামে ছুটে আসছেন তাঁরা।

ড্রাগন মুরগি দিয়ে তৈরি আলোচিত রেসিপির মধ্যে অন্যতম চিকেন স্টিমড উইথ হার্বস (স্থানীয়ভাবে গা ডং তাও হ্যাপ লা চান), চিকেন ব্রেইজড ইন সয়া সস (গা ডং তাও খো জি দাও), চিকেন উইথ লেমনগ্রাস অ্যান্ড চিলি (গা ডং তাও জাও সা অট) ইত্যাদি
ড্রাগন মুরগি দিয়ে তৈরি আলোচিত রেসিপির মধ্যে অন্যতম চিকেন স্টিমড উইথ হার্বস (স্থানীয়ভাবে গা ডং তাও হ্যাপ লা চান), চিকেন ব্রেইজড ইন সয়া সস (গা ডং তাও খো জি দাও), চিকেন উইথ লেমনগ্রাস অ্যান্ড চিলি (গা ডং তাও জাও সা অট) ইত্যাদি
ছবি: পেক্সেলস

কয়েক শতাব্দী ধরেই ভিয়েতনামে দারুণ জনপ্রিয় এই মুরগি। একসময় শুধু রাজপরিবারের সদস্যরাই এই মুরগি খেতেন। এই মুরগিকে রাজার সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বিশ্বাস করা হতো।

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ডং তাও মুরগি পাওয়া যায়। হুং ইয়েন প্রদেশের খোয়াই চাউ অঞ্চলের এই গ্রামেই জাতটির উৎপত্তি। পরিণত অবস্থায় ডং তাও জাতের একেকটি মুরগির ওজন ছয় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে, যার একটি বড় অংশই থাকে পায়ে। এই মুরগি দিয়ে তৈরি আলোচিত রেসিপির মধ্যে অন্যতম চিকেন স্টিমড উইথ হার্বস (স্থানীয়ভাবে গা ডং তাও হ্যাপ লা চান), চিকেন ব্রেইজড ইন সয়া সস (গা ডং তাও খো জি দাও), চিকেন উইথ লেমনগ্রাস অ্যান্ড চিলি (গা ডং তাও জাও সা অট) ইত্যাদি।

ড্রাগন মুরগির চাহিদা যত, উৎপাদন সেই হিসাবে বেশি নয়
ড্রাগন মুরগির চাহিদা যত, উৎপাদন সেই হিসাবে বেশি নয়
ছবি: রয়টার্স

ভিয়েতনামের মুরগির খামারি নুগুয়েন থি হং নুং বলেন, ‘এই মুরগির সবচেয়ে মূল্যবান অংশ হলো এর পা। মুরগির বয়স যখন ১৩ থেকে ১৫ মাস হয়, তখন সবচেয়ে ভালো স্বাদের মাংস পাওয়া যায়। সহজে ভাপ দিয়ে এই মুরগি রান্না করা যায়। এখন ডং তাও মুরগির চাহিদা অনেক। স্বতন্ত্র সুগন্ধ ও দারুণ স্বাদের জন্য এই মুরগির চাহিদা বাড়ছে। খামারিরা ভালো মানের চাল ও ভুট্টা খাওয়ানোর মাধ্যমে এই মুরগি পালন করেন। এই মুরগির চাহিদা যত, উৎপাদন সেই হিসাবে বেশি নয়। তাই এখনো ভিয়েতনামের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পারছেন না খামারীরা।

Tuesday, August 27, 2024

হাতিরঝিল লেকে নারী সাংবাদিকের লাশ

 

রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে এক নারী সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লাশটি উদ্ধার হয়। তাঁর নাম রাহানুমা সারাহ (৩২)। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন জিটিভির নিউজরুম এডিটর ছিলেন।

রাহানুমার স্বামীর ভাষ্য, তিনি পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশ বলেছে, এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বলা যাবে।

রাহানুমার স্বামীর নাম সায়েদ শুভ্র। তাঁরা রাজধানীর কল্যাণপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাহানুমার বাবার নাম বখতিয়ার শিকদার। বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়। দুই বোনের মধ্যে রাহানুমা ছোট ছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, গতকাল দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রাহানুমাকে নিথর অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন পথচারীরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাঁর লাশ কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, হাতিরঝিল লেকের পানিতে রাহানুমার নিথর দেহ ভাসছিল। পথচারীরা দেখে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তা লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বলা যাবে। তাঁর বাবা নোয়াখালী থেকে ঢাকায় এসেছেন। তিনি থানায় যে অভিযোগ দেবেন, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বামী সায়েদ শুভ্র বলেন, গতকাল রাহানুমা অফিসে গিয়েছিলেন। রাতে বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে বাসাভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দেন। তিনি তাঁকে ফোন করেন। বলেন, বাসায় না এসে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়েছেন? তখন রাহানুমা বলেন, তিনি ব্যস্ত আছেন। এই বলে ফোন রেখে দেন। দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি খবর পান, রাহানুমা হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে তিনি রাহানুমার লাশ দেখতে পান।

সায়েদ শুভ্র আরও বলেন, প্রেম করে সাত বছর আগে তাঁরা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয়নি। তবে বেশ কিছুদিন আগে থেকে রাহানুমা আলাদা হয়ে যেতে চাইছিলেন। তাঁরা কাজি অফিসে গিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করতে চেয়েছিলেন। তবে দেশের পরিস্থিতির কারণে তা আর করা হয়নি।