Tuesday, January 16, 2024

পদ্মায় ডুবে গেল যানবাহন নিয়ে নোঙর করা ফেরি


 পদ্মা নদীর পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া নৌপথে আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে একটি ফেরি ডুবে গেছে। উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন পাটুরিয়ার ঘাটেছবি: প্রথম আলো

ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন নিয়ে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে গেছে। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি থাকা ফেরিটি ডুবতে শুরু করে।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, ফেরিডুবির ঘটনায় ১০ জন উদ্ধার হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন সাঁতরে কূলে আসেন। আর ছয়জনকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।

আজ সকালে নৌ চলাচল চালু হয়নি। এমন অবস্থায় পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। ফেরিতে ৯টি যানবাহন ছিল বলে জানা গেছে। হুমায়ূন কবীর নামে ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক নিখোঁজ আছেন।


Monday, January 15, 2024

জিনিসপত্রের দাম বেশি নিলে ‘৩৩৩’ নম্বরে অভিযোগ, আসছে নতুন সেবা

 

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি নেওয়া হলে ‘৩৩৩’ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এই সুবিধা চালু করা হবে। সচিবালয়ে গতকাল বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেখানেই তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিকে আরও ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিল ইরান

 

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইরানের নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদিফাইল ছবি: রয়টার্স

শান্তিতে নোবেলজয়ী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদিকে আরও ১৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইরানের একটি আদালত।

বিভিন্ন অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নার্গিস মোহাম্মদি এরই মধ্যে ১২ বছর কারাভোগ করেছেন। নতুন এ সাজার কারণে তাঁকে আরও ১৫ মাস কারাবন্দী থাকতে হবে।

নার্গিস মোহাম্মদির বিরুদ্ধে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি কারাগারে থাকা অবস্থায় এ অপপ্রচার চালিয়েছেন বলে অভিযোগ সরকারের।

আরও পড়ুন

১৩ বার গ্রেপ্তার ৩১ বছরের কারাদণ্ড, তাঁর হাতে শান্তির নোবেল

নতুন করে এ সাজা ঘোষণার সমালোচনা করেছে নার্গিস মোহাম্মদির পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা জানান, ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে এ নিয়ে নার্গিস মোহাম্মদির বিরুদ্ধে পাঁচবার দণ্ডাদেশ দেওয়া হলো।

এবার বিচার ও রায় ঘোষণার সময় নার্গিস মোহাম্মদিকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
কয়েক দশক ধরে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন নার্গিস মোহাম্মদি। এসব কাজের জন্য গত দুই দশকে তাঁকে বেশ কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে। মোট ১৩ বার আটক হয়েছেন তিনি। নার্গিস মোহাম্মদিকে মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নার্গিস মোহাম্মদিকে বর্তমানে তেহরানের আলোচিত এভিন কারাগারে রাখা হয়েছে। তবে নতুন সাজায় বলা হয়েছে, কারাভোগের পাশাপাশি তাঁকে দুই বছরের জন্য তেহরানের বাইরে থাকতে হবে। ফলে এখন তাঁকে তেহরানের বাইরে নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

ইরানে পরিবর্তনের আন্দোলন আরও জোরদার হবে: নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি

আদালত আরও বলেছেন, সাজাভোগের পর নার্গিস মোহাম্মদি দুই বছর দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। তিনি কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। এমনকি ওই সময় মুঠোফোন ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকতে হবে নার্গিস মোহাম্মদিকে।

৫১ বছর বয়সী মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদি গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ইরানে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করায় তিনি সম্মানজনক এ পুরস্কার পান।

কারাবন্দী থাকায় নার্গিস মোহাম্মদি নিজে উপস্থিত হয়ে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেননি। নরওয়ের রাজধানী অসলোর সিটি হলে নার্গিস মোহাম্মদির সন্তান তাঁর পক্ষে নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করে। ওই সময় তাঁর কিশোর সন্তান জানায়, কয়েক বছর সে তার কারাবন্দী মায়ের দেখা পায়নি।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনিয়ম বা দুর্নীতি করলে তাঁর মাফ নেই


 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার তাঁর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন
ছবি: পিআইডি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা)’ দেখানো, মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়াসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসহ মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এ ছাড়া বৈঠকে উপস্থিত একজন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তাঁর তরফ থেকে মন্ত্রীদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওনার ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে। সব মন্ত্রণালয়কে একই নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার একজন সদস্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেউ যদি কোনো অনিয়ম করেন বা কোনো দুর্নীতি করেন, তাহলে তাঁর কোনো মাফ নেই, ছাড় নেই। প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে এ বিষয়টি দেখবেন।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আরও কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিসভার ওই সদস্য। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় মিতব্যয়ী হওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, সৎ ও স্বচ্ছ থাকা এবং কোনো ক্রয়প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম করা যাবে না। কোনো পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ ধীরগতি করা যাবে না। আর প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে নাগরিক সুবিধা দেখে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে আগামী পবিত্র রমজান মাসে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং একই সঙ্গে রমজান মাস–সংশ্লিষ্ট যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, সেগুলোর সরবরাহ পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক থাকে, সে ব্যাপারেও কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইশতেহার দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন ইশতেহারে ওই মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে যেন এখনই কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং সেই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ করা হয়।

কৃষি উৎপাদনের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদন যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। কৃষিপণ্য সংরক্ষণে আরও সংরক্ষণাগার তৈরিরও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ—‘স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ’—এই চার স্তম্ভকে ভিত্তি করে যে মন্ত্রণালয় যে অংশের সঙ্গে জড়িত, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে, সেগুলো দ্রুত শেষ করা এবং যে প্রকল্প থেকে জনগণ সরাসরি উপকার পাবে, সেগুলো দ্রুত নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার আগে সেটি কীভাবে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে, সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।

সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচি যেগুলো আছে, সেগুলোর সুবিধা যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা পায়, সেটি পরিবীক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া সরকারি শূন্য পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করারও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি নারী উন্নয়নে ও নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটি যেন কোনো অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলেছেন তিনি।

রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান করে সেখানে প্রবেশে কীভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য—এই তিনটি পণ্যকে গার্মেন্টস বিকাশে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, প্রয়োজনে সে রকম সহায়তা দিয়ে যেন বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হয়
ছবি: পিআইডি

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া যুবসমাজকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে বলেছেন, যাতে করে তারা মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ থেকে বিরত থাকতে পারে।
অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতা সমন্বিতভাবে মোকাবিলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেবেন, সেটির খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন।


কিছু কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়: প্রধানমন্ত্রী

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন মানুষের সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সেটা অনেকটা কমিয়ে এনেছি। তিনি এ–ও বলেন, ‘কিছু কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। তবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, এটাও সত্য। আগে এত ক্রয়ক্ষমতা ছিল না।’

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথ সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথ সভা হয়।

নির্বাচন শেষে নিজেদের মধ্যে দোষারোপ ও অপরাধ খোঁজা বন্ধ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশি নেতাদের জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বেশি দোষারোপ করি এবং অপরের দোষ ধরতে ব্যস্ত থাকি, এতে আমাদের বিরোধী দলকে উৎফুল্ল করবে এবং তাদের সুযোগ দেওয়া হবে।’

নির্বাচন যাতে না হয়, সে জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করেছি।’

দলীয় প্রার্থিতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেই জন্য নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। যারা করতে চাই করুক।’

নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ পারে নাই। সে ক্ষেত্রে আমি সকলকে অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা বা কার কী অপরাধ, সেগুলো খুঁজে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারও কারও কষ্ট আছে, কারও কারও আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ, দুঃখ, কষ্ট, হাসি, কান্না—সবকিছু মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। সবাইকে আবার এক হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, সেটা যেন কোনোমতে হারিয়ে না যায়।’

সংগঠন যদি পাশে না থাকে, তাহলে কোনো অর্জন করা সম্ভব হয় না বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রতিটি সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। তাঁর শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।

নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া আরও কয়েকটি দল অংশগ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের যে সমর্থন পেয়েছে, সেটা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে সরকার। এ জন্য ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। কেউ জিততে পেরেছেন বা পারেননি। তাই সবাইকে মেনে নিয়ে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দল নির্বাচন করেনি, তারা তো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে অভ্যস্ত নয়। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সব জরিপে স্পষ্ট ছিল, বিএনপি তাদের জোট নিয়ে নির্বাচন করলে সরকার গঠন করার সাফল্য অর্জন করবে না। সেই পরিমাণ আসনও তারা পাবে না। একমাত্র আওয়ামী লীগের বেলায় বলা ছিল, এককভাবে সরকার গঠন করার মতো পর্যাপ্ত আসন পাবে। এ কথা শোনার পর তারা নির্বাচনে আসবে না, তা তো স্বাভাবিক।

বিএনপি ক্ষমতা দখলকারীদের পকেট থেকে সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোট চুরি করা, কারচুপি করা—এসব সংস্কৃতি তো বিএনপির আমলেই সৃষ্টি। তারা ওইটাই ভালো বুঝত।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সজাগ থাকতে হবে অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস—যারা রেলগাড়িতে মা-সন্তান-শিশুকে পুড়িয়ে মারে, যারা বাসে আগুনে মানুষ মারে—ওই অগ্নিসন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। জনগণ এবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিএনপিসহ সমমনাদের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা লিফলেট বিলি করেছে, মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে না যান। লিফলেট যত বেশি বিলি করেছে, মানুষ তত বেশি ভোটকেন্দ্রে গেছেন। তাদের কথায় মানুষ সাড়া দেননি। এই যে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস, সেটা ধরে রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্বাচন বানচাল করতে চান; অর্থাৎ তাঁরা গণতান্ত্রিক পরিবেশই চান না। গণতন্ত্র চান না, নির্বাচন চান না, তাঁরা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তাঁদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁদের কথা বাদ দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

যৌথ সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
যৌথ সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
ছবি: বাসস

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস থাকায় সরকার গঠন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এই বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নয়নের কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। এখন মানুষের সবচেয়ে কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সেটা অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিছু কিছু মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি বাড়ায়। তবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, এটাও সত্য। আগে এত ক্রয়ক্ষমতা ছিল না।’

সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

যৌথ সভার শুরুতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সভা শেষে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পক্ষ থেকে।

 

সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া

 

উত্তর কোরিয়া গতকাল রোববার মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালায়ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়া নতুন সলিড-জ্বালানিচালিত একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ আজ সোমবার জানায়, গতকাল রোববার মাঝারিপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালানো হয়।

উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র।

কেসিএনএর খবরে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল নতুন এই অস্ত্রের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা। এই পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেনি।

আরও পড়ুন

ক্ষেপণাস্ত্রের ‘কঠিন জ্বালানি’ যেভাবে তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার এই অস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। উত্তর কোরিয়ার প্রত্যক্ষ উসকানি কঠোর জবাবের মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে।

২০২৪ সাল শুরুর পর গতকালই প্রথম কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণুবিষয়ক দূতেরা নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, অঞ্চলটিতে অস্থিতিশীলতার মূল কারণ উত্তর কোরিয়ার উসকানি।

আরও পড়ুন

Sunday, January 14, 2024

আইন পেশায় ফিরলেন সদ্য সাবেক তিন মন্ত্রী–প্রতিম

 






সদ্য সাবেক তিন মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী আইন পেশায় ফিরেছেন। তাঁরা হলেন সাবেক রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম (সুজন), সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

নতুন সরকারের মন্ত্রীদের প্রথম কর্মদিবস ছিল আজ রোববার। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আসেন সদ্য সাবেক এই তিন মন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে অবস্থিত চেম্বারে একসঙ্গে বসে সময় কাটান তাঁরা। বিকেলে নিজেদের চেম্বারেও (সমিতি ভবনের বাইরে ব্যক্তিগত চেম্বার) বসেন।

আইন পেশায় ফেরা প্রসঙ্গে শ ম রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩৬ বছর ধরে এই পেশায় আছি। আদালত অঙ্গনে ফিরে এসে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। সহকর্মীদের নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার যাত্রা ফের শুরু করলাম। নিজের চেম্বারে বসছি। নিয়মিত কোর্টে আসব।’

আজ চারটি মামলার শুনানি করেছেন বলে জানালেন পিরোজপুর-১ আসনের এই সংসদ সদস্য।  

সাবেক এই তিন মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক। তাঁদের মধ্যে নূরুল ইসলাম ও শ ম রেজাউল করিম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে হবিগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সায়েদুল হকের (ব্যারিস্টার সুমন) কাছে হেরেছেন মাহবুব আলী।

মাহবুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষে অনেককে আইন পেশায় ফিরতে দেখেছি। অনেক দিন পর প্রিয় প্রাঙ্গণে এসেছি। বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েছি, মন খুলে কথা বলেছি। খুব ভালো লেগেছে। নিজের চেম্বারে বসছি। এখন থেকে নিয়মিত কোর্টেও আসব।’

গত রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের পর গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। গত বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় আগের ১৫ জন মন্ত্রী, ১৩ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী স্থান পাননি।

নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রী থাকায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটাধিকার ও আইন পেশা পরিচালনা স্থগিত ছিল। এটি  নিয়মিতকরণ করা হয়েছে। নিজের চেম্বারেও (হাতিরপুলে অবস্থিত) বসছি। এখন থেকে নিয়মিত কোর্টেও যাব।’

ইতিহাসের এই দিনে: সিংহাসনে বসেন রানি প্রথম

 


রানি প্রথম এলিজাবেথের প্রতিকৃতির সামনে একজন দর্শণার্থীছবি: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি প্রথম এলিজাবেথ। ১৫৫৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি সিংহাসনে বসেছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। এরপর টানা ৪৫ বছর ধরে তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বিবেচনা করা হয়।

প্রাচীন পাণ্ডুলিপি উদ্ধার

সময়টা ১৯৬২ সালের ১৫ জানুয়ারি। গ্রিসে প্রাচীন প্যাপিরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষা করে জানা যায়, এটা ৩৪০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের। ইউরোপে সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো পাণ্ডুলিপি এটি।

হাডসন নদীতে উড়োজাহাজ অবতরণ

হাডসন নদীতে যাত্রীবাহী সেই উড়োজাহাজ
ছবি: এপি

২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি, যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন নদীতে জরুরি অবতরণ করে ইউএস এয়ারওয়েজের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ। উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। পরে বৈমানিক চেসলি সুলেনবার্গার উড়োজাহাজটিকে নদীতে জরুরি অবতরণ করাতে সক্ষম হন। এতে বেঁচে যায় ১৫৫ আরোহীর প্রাণ।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের জন্মদিন

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ অধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের জন্মদিন আজ ১৫ জানুয়ারি। ১৯২৯ সালের এ দিনে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ভূষিত করা হয়েছিল