Wednesday, November 20, 2024

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ চালাবে: মির্জা ফখরুল


 

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ চালাবে: মির্জা ফখরুল

উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরাই তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে চাচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেবো : ড. ইউনূস

 

রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হবে এমনটাই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, সংস্কারের ধরন ও পরিধি নির্ধারণ করবে রাজনৈতিক দলগুলো এবং তাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে যে নির্বাচন কত দ্রুত হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেব। গতকাল বণিক বার্তাসহ একাধিক দেশি বিদেশী গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বাইরে থেকে এসেছি। অর্থনীতি, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে শুরু করে সবকিছুই বেহাল দশা। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা আজকেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নিজ পেশায় চলে যেতে চান। তাদের নিজস্ব ব্যবসা বাণিজ্য আছে। উপদেষ্টা পদে থাকায় ছেলেমেয়েদের বেতন দিতে পারেন না। তারা দ্রুতই অন্তর্বর্তী সরকার থেকে চলে যেতে যান।

বাংলাদেশ ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় : প্রধান উপদেষ্টা

 

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।

 

প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির শীর্ষ নেতাদের দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করতে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান।

 

আইআরআই, রিপাবলিকান পার্টির সাথে সংশ্লিষ্ট থিঙ্কট্যাঙ্ক। এটি বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রচার করে। ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক প্রধান স্টিভ চিমার নেতৃত্বে আইআরআই কর্মকর্তারা তাদের চলমান সফরে রাজনীতিবিদ, ছাত্র সমাজ ও সুশীল সমাজের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।

 

চিমা বলেন, আইআরআই'র অগ্রাধিকার হলো অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সহায়তা করা, বিশেষ করে এখন, যখন দেশের মূল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার জন্য ব্যাপকভাবে আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

চিমা আরো বলেছেন, 'আওয়ামী লীগের অধীনে আসল উদ্বেগ ছিল দেশের সত্যিকারের গতিপথ নিয়ে। এখানে সংস্কার সফল হতে দেখাই মার্কিন স্বার্থ।'

 

অধ্যাপক ইউনূস তার সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে নির্বাচন করবে উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচনের ট্রেন ইতোমধ্যেই প্রথম স্টেশন ছেড়েছে এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশন সাধারণ নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করবে।

 

ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের ফলে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে তিনি শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর এবং কংগ্রেস সদস্যদের বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান।

 

বৈঠকে আইআরআই কর্মকর্তা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআই কান্ট্রি চিফ জোশুয়া রোসেম্বলাম এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস


গাজীপুরে গাছ থেকে ছিঁড়ে কমলা কিনতে মানুষের ভিড়

 



একেবারে সুনসান নীরব গ্রাম। পুকুরপাড়–লাগোয়া হাঁটাপথ পেরোলে কাঠের তৈরি ফটক। ভেতরে ঢুকলেই দেখা মেলে সবুজ ফলবাগানের। সেখানে আছে বাঁশ, কাঠ ও শণের তৈরি বিশ্রামাগার। এরপর বাগানের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া যায় কমলাবাগানে। বাগানটির অবস্থান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া গ্রামে।

বাগানজুড়ে ধরে আছে অনেক কমলা। এই বাগানের নাম তাওয়াক্কালনা ফ্রুট। গত বছরও এ বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছিল। দ্বিতীয়বারের মতো বাগানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। ২০২১ সালে কমলাবাগানের যাত্রা শুরু হয়। মো. অলিউল্লাহ বাইজিদ, মো. ফারুক আহমেদ, মো. আবদুল মতিন ও মো. আইনুল হক এর উদ্যোক্তা। কৃষির প্রতি অনুরাগ থেকেই ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেন তাঁরা। এ বছর তাঁরা ফলবাগানটিতে শুরু করেছেন ‘অ্যাগ্রো ট্যুরিজম’। অর্থাৎ দর্শনার্থীরা নামমাত্র মূল্যে টিকিট কেটে কমলাবাগান ঘুরে দেখতে পারেন। একই সঙ্গে নিজ হাতে গাছ থেকে কমলা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট মূল্য দিয়ে সেখান থেকে কিনতে পারছেন। কমলাবাগানের পাশাপাশি মিশ্র ফলের বাগান ঘুরে দেখার সুযোগও আছে তাঁদের।

আজ বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, ফলবাগানের মূল ফটকের পাশেই টিকিট কাউন্টার। সেখানে দর্শনার্থীরা টিকিট কেটে বাগানে ঢুকছেন। প্রতিটি টিকিটের মূল্য নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। প্রবেশফটক পার হলে দৃষ্টিনন্দন আঙরবাগান। এই বাগান পার হওয়ার পর চারপাশেই দেখা মিলবে আম, বরই, ড্রাগন, কাঠলিচুসহ বিভিন্ন ফলের গাছের। বাগানের এক পাশে বিশ্রামাগারে বাঁশ দিয়ে তৈরি বেশ কিছু মাচা ও চেয়ার পাতা। দর্শনার্থীরা সেখানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এরপর নির্দেশনা অনুযায়ী বাগানের ভেতর দিয়ে হাঁটাপথ পার হলে কমলাবাগানটি চোখে পড়ে।

বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা মো. সবুজ মিয়া বলেন, দার্জিলিং জাতের ১৫০টি কমলাগাছ আছে সেখানে। এ ছাড়া মান্দারিন জাতের বেশ কিছু গাছ আছে। সব কটি গাছেই প্রচুর কমলা ধরেছে। তবে আপাতত বাগান থেকে কেবল দার্জিলিং জাতের কমলা বিক্রি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে মান্দারিন জাতের কমলাগুলো বিক্রি শুরু হবে। বর্তমানে ৩০০ টাকা দরে প্রতি কেজি দার্জিলিং জাতের কমলা বিক্রি করা হচ্ছে বাগান থেকে।

বাগান থেকে নিজে কমলা তুলে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন রাজীব আহমেদ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জেনে প্রথমবার বাগানে এসেছেন তিনি। বলেন, ‘তরতাজা কমলা। বাজার থেকে কিনলে অনেক সময় এর মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে। তবে নিজ হাতে গাছ থেকে পেড়ে তা কিনে নিলে আস্থা পাওয়া যায়। এগুলোর আকার বাজারের যেকোনো কমলার চেয়ে বড়।’

থোকায় থোকায় ধরে আছে কমলা। বাগানে গিয়ে নিজে সংগ্রহ করে কিনতে পারেন যে কেউ
থোকায় থোকায় ধরে আছে কমলা। বাগানে গিয়ে নিজে সংগ্রহ করে কিনতে পারেন যে কেউ
ছবি: প্রথম আলো

আবু রায়হান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, কমলা অনেক মিষ্টি। রসে ভরপুর হওয়ায় তিনি এই জাতের কমলার চারা বাড়িতেও রোপণ করতে চান।

উদ্যোক্তাদের একজন মো. অলিউল্লাহ বাইজিদ বলেন, কমলাবাগানে প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। অ্যাগ্রো ট্যুরিজম বা কৃষি পর্যটনের ধারণা বাস্তবায়ন করার ফলে দর্শনার্থীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। তাঁরা ফল কেনার পাশাপাশি নিজেরা ফলগাছ রোপণে উৎসাহী হচ্ছেন। বাড়ির আঙিনায় বাগান তৈরির ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া নিজ হাতে টাটকা ফল নেওয়ার ক্ষেত্রে মানের ব্যাপারেও নিশ্চিত হতে পারছেন।

দার্জিলিং জাতের এই কমলা বাগান থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে
দার্জিলিং জাতের এই কমলা বাগান থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে
ছবি: প্রথম আলো

আরেক উদ্যোক্তা মো. আবদুল মতিন বলেন, শখের বশে তাঁরা প্রথমে কিছু কমলা ও অন্যান্য ফলের চারা রোপণ করেন। এরপর চারজন মিলে ২০২১ সালে ৮ বিঘা জায়গা ১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষের উদ্যোগ নেন। সেখানে দেড় বিঘাজুড়ে দুই জাতের কমলার চারা রোপণ করেন। মোট জমির বাকি অংশে আম, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন চাষ করেন।


রাজনৈতিক দলের সংস্কার ছাড়া প্রশাসনে সংস্কার হবে না


 রাজনৈতিক দলের সংস্কার ছাড়া জনপ্রশাসনের সংস্কার হবে না। জনপ্রশাসনে সংস্কার আনতে হলে রাজনৈতিক দলে সংস্কার আনতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে অন্তত ২০টি সংস্কার কমিশন হয়েছিল। এসব কমিশন অনেক ভালো পরামর্শও দিয়েছিল; কিন্তু তেমন কোনো সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ আয়োজিত ‘জনপ্রশাসন সংস্কার ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে শিক্ষক ও গবেষকদের কথায় এ অভিমত উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এ সেমিনারে শিক্ষক ও গবেষকেরা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সবার আগে উচিত ছিল রাজনৈতিক দলের সংস্কার কমিশন গঠন করা; কিন্তু তা হয়নি। তাই এবারও জনপ্রশাসন সংস্কারে কমিশন তাদের সুপারিশ তুলে ধরলেও তা বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

গণমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের একজন সদস্য সেমিনারে বলেন, আগে রাজনৈতিক দলের সংস্কারে কমিশন হওয়া জরুরি ছিল। জনপ্রশাসনে সংস্কারে গঠিত কমিশন সুপারিশ করলেও ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে’ সে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে দেশের প্রশাসন এখনো ভঙ্গুর। প্রশাসন ক্যাডার, পুলিশ ও স্থানীয় সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্য হারিয়ে গেছে। দেশের মৌলিক দুর্বলতা হচ্ছে, প্রশাসন উচ্চ রাজনীতিকরণ, কেন্দ্রীভূত, অদক্ষ, অনৈতিক ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে চলে যাওয়া। এসব কিছু হয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে।

তবে জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশে একটা পদ্ধতিগত পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে বলে মনে করেন ফেরদৌস আরফিনা। তিনি বলেন, এখন যেটি করতে হবে, তা হলো প্রশাসনের ওপর রাজনৈতিক কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না, সে ব৵বস্থা করা। এ জন্য আইনি, কাঠামোগত, পদ্ধতিগত ও আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে।

প্রশাসনে আইনি সংস্কারের বিষয়ে মূল প্রবন্ধে ফেরদৌস আরফিনা বলেন, সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকার চাইলে কোনো কারণ ছাড়াই জনস্বার্থে তাঁকে চাকরি থেকে অবসরে পাঠাতে পারবে। কোনো কারণ ছাড়া একজন সরকারি কর্মচারীকে এভাবে চাকরি থেকে বিদায় দেওয়া উচিত নয়। আবার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৯৭ নম্বর ধারায় বলা আছে, সরকারি চাকরিজীবীকে গ্রেপ্তারের আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এই ধারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।

কাঠামোগত সংস্কার আনার বিষয়ে প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) সব ক্যাডার সমান সুযোগ পান না। এখানে বড় ধরনের বৈষম্য রয়েছে। এ বৈষম্য দূর করতে হবে। পদ্ধতিগত সংস্কারে পদোন্নতি, পদায়ন ও নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে করতে হবে। প্রবন্ধে সরকারি কর্মচারীদের আচরণগত পরিবর্তনের ওপরও জোর দেওয়া হয়। নৈতিকতা, পেশাদারের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। ফেরদৌস আরফিনা ওসমান মনে করেন, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা না থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন আছে। কিন্তু এসব কমিশন দেশের কী কাজে আসছে? কোনো কাজে আসছে না। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন কী করতে পেরেছে? এমনিভাবে মানবাধিকার কমিশনও কোনো কাজে আসছে না।

অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা দেশের অগ্রসর মানুষ, উচ্চ শিক্ষিত। তাঁদের চিন্তাচেতনা অনেক উঁচুতে থাকার কথা। কিন্তু বিগত নির্বাচনের সময় তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত একজনকেও দেখিনি যে তিনি বিগত সময়ের নির্বাচন নিয়ে অনুশোচনা করেছেন। অথচ তাঁরা সবাই শিক্ষিত।’

ভালো আমলাতন্ত্র ছাড়া ভালো গণতন্ত্র কিংবা টেকসই উন্নয়ন হবে না বলে মন্তব্য করেন বেলজিয়ামের অ্যান্টওয়ার্প বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নীতিমালা ইনস্টিটিউটের সহযোগী গবেষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, ওই নির্বাচন শুধু অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল না, সেখানে আন্তর্জাতিক বিষয়ও জড়িত ছিল।

মিজানুর রহমান বলেন, আমলাতন্ত্রকে আরও বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করতে হবে। একজন সচিব কী সুবিধা পান, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়ন—প্রশাসনে এসব ছোট বিষয়। আমলাতন্ত্রকে আরও বৃহৎ পরিসরে দেখা উচিত। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্কার (ডব্লিউটিও) সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের ভূমিকা রাখতে পারছেন কি না, অন্যান্য বড় চুক্তি ও সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের ভূমিকা রাখতে পারছেন কি না, তা দেখা উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাঈফুদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার বাদ দিয়ে প্রশাসনকে সংস্কার করা যাবে না। রাজনৈতিক দলেই জবাবদিহি নেই। তাহলে প্রশাসন কার কাছে জবাবদিহি করবে। সিটি করপোরেশন থাকতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রয়োজন কেন, সে প্রশ্ন করেন তিনি।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, প্রশাসনে সংস্কার আনতে হলে আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সদিচ্ছা থাকতে হবে। দেশে এত বিসিএস ক্যাডারের প্রয়োজন নেই। প্রশাসনে রাজনীতিকরণের কারণে গত দেড় দশকে কী হয়েছে তাঁর একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে তিনি অতিরিক্ত সচিব হন। ২০২০ সালে যখন অবসরে যান, তখনো তিনি অতিরিক্ত সচিব। অথচ একই সময়ে মেধাক্রমে তাঁর চেয়ে পিছিয়ে থাকা কর্মকর্তা সচিব হয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন বঞ্চনার মধ্যে যাতে আর কাউকে পড়তে না হয় সে পরামর্শ দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির বলেন, বিগত সময়ে সংস্কার কমিশন থেকে সুন্দর সুন্দর প্রস্তাব এসেছে; কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি। প্রশাসন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। বিগত সময়ের সংস্কার কমিশনের সুপারিশ কেন বাস্তবায়িত হয়নি, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

নতুন করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করে সৈয়দা লাসনা কবির বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের কোনো দৃশ্যমান বৈঠক দেখা যায়নি। এসব সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে। তাই রাজনৈতিক দলকে নিয়ে কমিশনকে বসতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আকা ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধসহ দেশে অনেক যুদ্ধ ও সংগ্রাম হয়েছে; কিন্তু আমরা সেসব সংগ্রামের ফসল তুলতে পারিনি। দেশ স্বাধীনের পর ২৬ বার জনপ্রশাসন সংস্কারে কমিশন হয়েছে; কিন্তু সেসব কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। এসব সুপারিশ কে বাস্তবায়ন করবে? রাজনৈতিক দল করবে। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠিত হয়নি। দেখা গেল আমরা সুপারিশ তুলে ধরলাম। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কানে তুলা দিয়ে বসে আছে। তারা কান থেকে তুলা খুলে বলবে, কিছু শুনিনি। তাই রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি।

সরকার পরিবর্তনের ধাক্কায় খেলাপি ঋণ বাড়ল সরকারি চার ব্যাংকে

 

রাষ্ট্রমালিকানাধীন চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ লাগামহীনভাবে বাড়ছে। নতুন ঋণ বিতরণ কমিয়ে আনলেও এসব ব্যাংকের পুরোনো ঋণ দফায় দফায় খেলাপি হচ্ছে। আবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকে থাকা প্রভাবশালী অনেক ব্যবসায়ীর ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়েছে। এতে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে সরকারি চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৩ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এ সময়ে পুরো ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।

ব্যাংক চারটির কর্মকর্তারা বলছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির ঋণ অনেক ক্ষেত্রে বাইরে পাচার হয়ে গেছে। আবার ব্যবসায় লোকসানের কারণেও কোনো কোনো ঋণ আদায় হচ্ছে না। এখন রাজনৈতিক কারণেও অনেক ঋণ নতুন করে খেলাপি হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে যেসব ঋণ বিতরণ হয়েছে, এই ঋণগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে। এতেই বাড়তে শুরু করেছে খেলাপি ঋণ। সামনে যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বেক্সিমকোতে কাবু সোনালী ব্যাংক

হল–মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত সোনালী ব্যাংক নতুন ঋণ বিতরণে কয়েক বছর ধরেই সংযত। গ্রাহকের আমানত ব্যাংকটি সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করে মুনাফা করছে। তবে আগে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তার একটি অংশ সময়ে সময়ে খেলাপি হয়ে পড়ছে। গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান ঋণ পরিশোধ বন্ধ করে দেয়। ফলে গত সেপ্টেম্বরে বেক্সিমকোর ১ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা ও জিএমজি এয়ারলাইনের ১৯১ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে। একই সময়ে ওরিয়ন গ্রুপের ১১৬ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে যায়। এ ছাড়া লতিফ বাওয়ানি জুট মিলস, করিম জুট মিলস, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী আশ ইন্ডাস্ট্রিজ, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ, প্যারাডাইস ইলেকট্রিকসসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে তিন মাসে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। গত জুনে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ১৩ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১৬ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আলী খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বড় কয়েকজন গ্রাহকের ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। আমরা যোগাযোগ বাড়িয়ে এসব ঋণ নিয়মিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি সামনে খেলাপি ঋণ কমে আসবে।’

জনতাকে ডুবাল বেক্সিমকো ও এস আলম

জনতা ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের ৬১ শতাংশই এখন খেলাপি। ব্যাংকটিকে ডুবিয়েছে বেক্সিমকো ও বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ। চলতি বছরের জুনে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ৪৮ হাজার কোটি টাকা, সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। তিন মাসে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। বেক্সিমকো গ্রুপে জনতা ব্যাংকের ঋণ ২৩ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে ১৯ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে। এ ছাড়া এস আলম গ্রুপের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সমালোচিত অ্যাননটেক্স, ক্রিসেন্ট, রতনপুর, বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ আগে থেকেই খেলাপি হয়ে পড়েছে। এতে টান পড়েছে ব্যাংকটির তহবিলেও।

ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান অর্থসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলেছেন, দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার মতো তহবিল না থাকায় এখন দৈনিক প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ধার করে চলছে ব্যাংকটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম মুনাফার পরিবর্তে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে যাচ্ছে জনতা ব্যাংক। ডিসেম্বর শেষে লোকসানের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনতা ব্যাংক কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।

অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকও একই পথে

অগ্রণী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গত জুনে ছিল ২১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে যা বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। তিন মাসেই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। গত ৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ব্যাংকার আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে দেখলাম, আড়াই হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হলেও এত দিন তা দেখানো হয়নি। আবার অনেক বড় গ্রাহকের ঋণও নতুন করে খেলাপি হয়ে গেছে। ফলে খেলাপির পরিমাণ বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি নগদ টাকা আদায় ও ঋণ নিয়মিত করে তা আদায় করার।’

এদিকে গত জুনে রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ১০ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। বিদায়ী সরকারের মেয়াদে ব্যাংকটির অন্যতম প্রভাবশালী গ্রাহক স্কাই ক্যাপিটাল, বদর স্পিনিং ও ব্লু প্লানেট গ্রুপ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া স্টকিশ স্যুয়েটার, থার্মেক্স গ্রুপ ও জেএফকে ফ্যাশনের ঋণও গত প্রান্তিকে খেলাপি হয়ে গেছে। ব্যাংকটিতে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এমডি নেই।

Tuesday, November 19, 2024

কবে হবে মৃত্যু, জানাবে ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’

 

বিশ্ব এখন অনেক আধুনিক হয়েছে প্রযুক্তির ছোঁয়ায়। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসা থেকে শুরু করে গবেষণাগার, প্রেমপত্র, চাকরির সিভি- এমন কোনো কাজ নেই যা চোখের নিমিষে করতে পারছে না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই)।

Loaded12.54%
Remaining Time 18:55

সব স্তরে এখন এআই প্রযুক্তির জয়জয়কার। শত শত, হাজার হাজার মানুষের কাজ একহাতে এক মুহূর্তেই করে দিতে পারছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ফলে আগামী পৃথিবীতে বেকার সমস্যা একেবারে তুঙ্গে তুলে দিতে পারে।

তবে কীভাবে এআই প্রযুক্তির উন্নতি করা যায়, তা নিয়ে গলদঘর্ম পরিশ্রম করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। আর এর মধ্যেই অবিশ্বাস্য এক আবিষ্কার করে বসেছেন তারা।

আপনি কবে মারা যাবেন, তা ঠিকঠাক বলে দেবে এআই প্রযুক্তির এক যন্ত্র। যার নাম ‘মরণ ক্যালকুলেটর’। এই বিস্ময়কর যন্ত্রটি এআই প্রযুক্তির নতুন এক সংযোজন। যার মাধ্যমে জীবদ্দশতাতেই মানুষ জানতে পারবেন, কবে তার মৃত্যু হতে চলেছে।

‘ল্যানসেট ডিজিটাল হেল্‌থ’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য বলছে, এআই পরিচালিত ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম স্বাস্থ্যপরীক্ষার মাধ্যমে অনুমান করতে পারে যে, সেই ব্যক্তি ভবিষ্যতে কোনো শারীরিক সমস্যায় ভুগবেন কি না! এমনকি ব্যক্তির মৃত্যু কবে হবে, সেই বিষয়েও তথ্য দিতে পারে এই যন্ত্র।

অবশ্য গবেষকদের দাবি, মেডিক্যাল কেয়ারের জন্য ব্যবহারে এখনই এই যন্ত্র তৈরি নয়। এই যন্ত্রে গবেষকেরা ইসিজি রিস্ক এস্টিমেটর টুল ব্যবহার করেছেন।

গবেষকরা আরও দাবি করছেন, দশজনের মধ্যে আটজন রোগীর ক্ষেত্রে এই টুল হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি আছে কি না কিংবা কোনো রোগে তিনি ভবিষ্যতে আক্রান্ত হবেন কি না কিংবা তার মৃত্যু কবে হবে, তা সফলভাবে বলে দিতে পেরেছে। লন্ডনের দুইটি হাসপাতালে ট্রায়াল হিসেবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হবে আসছে বছরেই।

যাযাদি/ এম

facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
sharethis sharing button

জনগণ একটি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায় : দ্য হিন্দুকে ইউনূস

 

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু'র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে দেশের পরিস্থিতি, সরকার, সংখ্যালঘু, নির্বাচন, রাজনৈতিক দল, সংস্কার, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকারটি পাঠকের জন্য প্রকাশ করা হলো।

Loaded9.48%
Remaining Time 10:20

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে বাংলাদেশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করেছেন, আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়, তার এতে কোনো আপত্তি নেই।

ঢাকায় তার বাসভবনে দ্য হিন্দু-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং তার সরকারের সংস্কার পরিকল্পনার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি তার সরকারের ১০০ দিনের শাসনের অর্জনগুলোর পক্ষে কথা বলেন এবং মৌলবাদ ও দেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে, তা 'প্রোপাগান্ডা' হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রশ্ন: আপনি ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন সম্পন্ন করেছেন। আইন-শৃঙ্খলা ও অর্থনীতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনি আপনার সরকারকে কেমন মূল্যায়ন করবেন?