ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে পড়েন জান্নাতি ফাহমিদা। কিন্তু আবাসিক হলে সিট পাননি। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের এই ছাত্রী আজিমপুরের একটি মেসে (ছাত্রীনিবাস) থাকছেন। এ জন্য প্রতি মাসে তাঁকে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে।
ফাহমিদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাইরে থাকলে খাওয়ার সমস্যা, যাতায়াতের সমস্যা, পানির সমস্যা—মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ি। হল কর্তৃপক্ষকে অনেক বলেও সিট পাচ্ছি না।’
শুধু ফাহমিদাই নন। তাঁর মতো অনেক ছাত্রীকে আবাসিক হলে সিট না পেয়ে মেসে বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকতে হচ্ছে। এই ছাত্রীদের মতে, ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় তাঁরা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নিরাপত্তা নিয়েও থাকে নানা ধরনের শঙ্কা। তার ওপর অতিরিক্ত খরচ তো আছেই, যা তাঁদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
মেয়েদের আবাসনের তীব্র সংকট থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন হল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে দেখি না। আবাসনসংকট কাটাতে একসঙ্গে একাধিক হল নির্মাণ জরুরি।
No comments:
Post a Comment