জাতীয় পাঠ্যক্রমে জমিজমা-সংক্রান্ত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে জমিজমা-সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই বোঝেন না। এ জন্য ভবিষ্যতে আমরা স্কুলে পাঠ্যক্রমে জমিজমার বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা করছি।’ গতকাল রোববার গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ভূমিসেবায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অংশীজনের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপস্থিত নাগরিক ও অংশীজনদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘নাগরিকেরা যেন স্কুল থেকেই ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কিছু ধারণা পেতে পারেন, সে জন্য ভূমিবিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনারা আপনাদের ভূমিবিষয়ক যেকোনো সমস্যার কথা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসারকে বলবেন।’
ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে। ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুস সবুর মণ্ডল এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও কালেক্টর কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি সংস্কার বোর্ড, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ কালেক্টরেট ও স্থানীয় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের আওতাভুক্ত ভূমি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, দেশের ৩২টি উপজেলা, সার্কেল ভূমি অফিস এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সঙ্গে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ভূমি অফিস এবং পাটগাতী ও কুশলী ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৮০ দিনের কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়েছে এবং এ–সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের প্রথম মতবিনিময় সভা গোপালগঞ্জ থেকেই শুরু হয়েছে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ১৮০ দিনের কর্মসূচির জন্য বাছাইকৃত জাতির পিতার স্মৃতিধন্য গোপালগঞ্জের ভূমি অফিসসমূহ ভূমিসেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
0 Comments